বিজয়ের নৌকা বঙ্গবন্ধু বানিয়েছে তা
ভাসিয়েছে বাংলার জলে
আজও তা অবিরাম চলে।।
মুক্তির কালে-
পিতাকে আটকিয়ে ভেবেছিল পাকিরা
পারবে না বাকিরা।।
পিশাচের দলেরা বোঝেনি তখনও তা
মাঝিও খোকা না প্রস্তুতি তাঁর তলে তলে
তাজউদ্দিন ভাইয়ের কাজ-কর্ম সে কথায় শুধু বলে।।
প্রবাসী সরকার চালিয়েছে
সে যে এক, অনাবিল ছন্দে
সে সময় ছিল না বাঙ্গালী কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে।।
প্রতিকূল পরিবেশে গভীর শোকের মাঝে
সব শোক ঠেলে দিয়ে হৃদয়ের ভাজে,
নিখুঁত নিপুণতায় বুবু এলেন নৌকার কাজে
মৃত্যুর ভয় ডর কখনো না প্রাণে তাঁর বাজে।
তারপর একে একে বিজয়ের কোলাহলে
দেখিয়েছে সে যে তা, ক্যারিশমা কাকে বলে।।
উন্নয়নের নৌকা
তরতরিয়ে আজ শুধু চলে
আর জনতার মুক্তির কথা বলে।।
ঈর্ষান্বিত যারা
খেপেছে আজ তারা
নৌকাকে ঠেকাবে বলে।
আওয়ামী কর্মীর লাশ ফেলে তারা চলে।
হাজারো খুঁত ধরা, একথা সেকথা বলা
তবুও মাঝির শান্তির পথে চলা।।
সবাখানে জনগণ
করেছে প্রাণেপন,
নৌকাকে জেতাতে হবে
রাজাকারের স্থান নাই এ-ভবে।
গণতন্ত্রের পূজারী যিনি
দেশরত্ন তিনি,
বুঝেছে জনগণ
কাঁদিয়া দীর্ঘ দিনক্ষণ।।
দশ বছর আগেরই মত
কাঁপিয়ে বাংলার ভূমি যত
এবারও নৌকা উদ্দাম চলবে
আর বিজয়ের কথা শুধু বলবে।।
এবারের নৌকা বুবুজান বানিয়েছে তা
ভাসিয়েছে ভোটের জলে
সে বিজয়ের কথা শুধু বলে।।
মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জার্মানি।