বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবিক, উদার, দানশীল। কিন্তু ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। তিনি এতটাই কাজ পাগল যে, ছুটি কাটাতে চান না একেবারেই। বিশ্বের অন্যকোন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের মধ্যে এ প্রবণতা বিরল। বছরের কোন না কোন সময় তারা ছুটি কাটিয়ে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ছুটি খরচ হয়ে গেলে মনে হয় তাঁর সর্বনাশ হয়ে যাবে। গত ২রা অক্টোবর ২০১৬ রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। ১৭ দিনব্যাপী যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, বিগত ৩৫ বছরে এই প্রথম টানা ৫ দিন ব্যক্তিগত ছুটি কাটিয়েছেন। সেবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেন। তারপর ৫ দিন ওয়াশিংটনে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় কাটান তিনি। ওই সময়টিকেই তিনি তার ব্যক্তিগত ছুটির সময় বলে উল্লেখ করেন।
আমার কাছে মনে হয়েছে, সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ৫ দিন তাও আবার একটানা ৫ দিন ছুটি কাটিয়ে যেন তিনি কোন অপরাধ করেছিলেন। তাই তাই জাতিকে কৈফিয়ত দিয়েছেন। কাজ পাগল এবং ছুটি খরচে কৃপণতার জন্য কোন পুরষ্কার থাকলে বিনাবাক্যে তিনি সে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হতেন।
ছবি- পিআইডি