মীর জাফর ছিল, মীর জাফর আছে, মীর জাফর থাকবে কখনো খন্দকার মোশতাক আহমেদ নামে, কখনো জিয়াউর রহমান নামে কখনো বা অন্য কোন নামে। কিন্তু তারা সবাই মীর জাফরের আদর্শের অনুসারী। এর প্রমাণ পাওয়া গেল আরেকবার গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহর বক্তব্যে। তার মনে যা ছিল তাই বেরিয়ে এসেছে। অধ্যাপক রহমতুল্লাহর মত জাতীয় বেঈমান কেমনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার সমর্থিত দলের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয় এটা আমার বোধগম্য নয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এখানে সরকার সরাসরি কোন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করাটা দৃষ্টিকটুও, সেই হিসেবে সরকার হয়তো ব্যাপারটিতে নজর রাখছে। ধন্যবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে যে তিনি একজন নব্য জাতীয় বেঈমানের বক্তব্যের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুজিবনগর সরকারের সব মন্ত্রীকে তাদের অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ খন্দকার মোশতাকের নামও উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জানান।খন্দকার মোশতাক মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাকে চোখে চোখে রাখতে হয়েছে। তাই, শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে না এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এটা গ্রহণ করে না।”আর নব্য জাতীয় বেঈমান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানাইনি। মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়ে কে কোন দায়িত্বে ছিল, সেটা আমি উল্লেখ করেছি। সেখানে আমি হীনকর্মের জন্য কুলাঙ্গার ব্যক্তিত্বের জন্য মোশতাকের নিন্দা জানিয়েছি।“কোনো একটি অংশকে নিয়ে কথা বলা হলে পরিপূর্ণ তথ্য আসবে না। সম্ভবত বিটিভি পুরো অনুষ্ঠান রেকর্ড করেছে। বিটিভি যদি রেকর্ড করে থাকে, তাহলে রেকর্ডটাই সত্য কথা বলবে।”বক্তব্যের রেকর্ডে সত্যতা প্রমাণিত হলে ক্ষমা চাইবেন জানিয়ে আইনের এই অধ্যাপক বলেন, “আমি সজ্ঞানে এমন কিছু বলি নাই। যদি বলে থাকি, তাহলে এটা আমার অজ্ঞতাবশত হবে। এজন্য আমি ক্ষমা চাইব এবং দুঃখ প্রকাশ করব।”আমরা এই জাতীয় বেইমানের ব্যাখ্যাকে কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারছি না। শুধুমাত্র দুঃখপ্রকাশ তার পাপের শাস্তি হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উচিৎ অনতিবিলম্বে সিন্ডিকেটের মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা। এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি পুস্তিকায় জিয়াকে আলোকিত করা হয়েছিল। এজাতীয় অপচেষ্টা গতকালই প্রথম হয়নি এর আগেও হয়েছে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অধ্যাপক রহমতউল্লাহ আরেকবার চেষ্টা চালিয়ে দেখলেন প্রতিক্রিয়া কি হয়। সরকার এবং সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ এখানে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। জাতি বঙ্গবন্ধুর খুনিকে শ্রদ্ধা জানানো কোনভাবেই গ্রহণ করবে না। এটা দেশদ্রোহিতার শামিল বলে গণ্য করা হবে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আক্তারুজ্জামান এর নীরবতায় শঙ্কিত। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর এর টেলিফোনে সাড়া দেননি। আশা করছি মাননীয় উপাচার্য দ্রুত তার নীরবতা ভঙ্গ করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেবেন। সরকারকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বারবার বলেছি সরকারের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনির দোসররা ঢুকে আছে। ঠিক তারই প্রমাণ আরেকবার পাওয়া গেল।আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। এক্ষেত্রে তিনি হয়ত দ্রুত এবং সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতির সবিনয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই নব্য জাতীয় বেঈমানকে চীরতরে অপসারণের জন্য।মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দারতথ্য ও গবেষণা সম্পাদকঅল ইউরোপিয়ান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি।https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/2048056
